কমলগঞ্জ প্রতিনিধি :: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে শারদীয় পূর্ণিমা তিথিতে মণিপুরি সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শ্রীকৃষ্ণের মহারাসলীলাকে কেন্দ্র করে চলে নানা আয়োজন।
সোমবার উপজেলার মাধবপুরের শিববাজার জোড়া মণ্ডপে ও আদমপুরের তেতইগাঁওয়ে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়।
জানা যায়, মণিপুরি মহারাসলীলা সেবা সংঘের আয়োজনে বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী এবার মাধবপুরের শিববাজার জোড়া মণ্ডপে ১৮১তম রাসলীলা ও আদমপুরে মণিপুরি মৈতৈ সম্প্রদায়ের আয়োজনে ৪১তম রাস উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সোমবার দুপুরে রাখাল নৃত্যের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে রাস উৎসব। মহারাসলীলা উপলক্ষে উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের শিববাজার জোড়া মণ্ডপ মহারাসলীলা দেখতে সারা দেশ থেকে আগত দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর মণিপুরি পাড়াগুলো। তবে অবরোধধের কারণে লোকসমাগম কিছুটা কম হয়েছে। রং-বেরঙের পোশাক আর বাদ্যযন্ত্রের আওয়াজ উৎসবের জানান দিচ্ছে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে। রাস উৎসব উপলক্ষে মণিপুরি তাঁতবস্ত্র প্রদর্শনী ও মেলা বসেছে। এছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে উৎসব পালন করতে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
রাস উৎসবের আয়োজকেরা জানান, মহারাসলীলা গোষ্ঠলীলা বা রাখাল নৃত্য দিয়ে দুপুরে শুরু হয়। গোধূলি পর্যন্ত এই রাখাল নৃত্য চলে। গোষ্ঠলীলায় রাখাল সেজে কৃষ্ণের বালকবেলাকে উপস্থাপন করা হয়। রাত ১১টায় শুরু হয় মহারাসলীলার নৃত্য বা শ্রী শ্রী কৃষ্ণের মহারাসলীলানুসরণ। এই রাসনৃত্য ভোর পর্যন্ত চলবে। এই রাসনৃত্যে গোপীদের সঙ্গে কৃষ্ণের মধুরলীলাই কথা, গানে ও সুরে ফুটিয়ে তুলবেন শিল্পীরা।
মাধবপুর ইউনিয়নের শিববাজার জোড়া মণ্ডপে মাধবপুর মণিপুরি মহারাসলীলা সেবা সংঘের আয়োজনে সন্ধ্যায় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ সিদ্দিকী।
মহারাসলীলা সেবা সংঘের সাধারণ সম্পাদক শ্যাম সিংহ বলেন, রাস উৎসব শুধু মণিপুরিদের জন্য নয়। রাস দেখতে সারা দেশ থেকে হাজার হাজার দর্শনার্থী আসেন। এই উৎসবকে ঘিরে মণিপুরি প্রতিটি পরিবার এক মাস থেকে প্রস্তুতি গ্রহণ করে।
Leave a Reply